বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১
স্পোর্টস ডেস্ক।।
হারের বৃত্তে থাকা বার্সেলোনা দলটিকে প্রায় গুছিয়ে এনেছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত! লিগ টেবিলেও ৯ নম্বর থেকে দুইয়ে উঠে আসে কাতালুনিয়ানরা। এইতো কয়েক সপ্তাহ আগেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের জালে এক হালি গোল দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনা। তখন এক টুইট বার্তায় বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে বলেছিলেন, উই আর ব্যাক। এরপর থেকেই যেন ছন্দপতন।
কয়েকদিন আগে বার্সা তারকা দানি আলভেসও বলেছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদ খুশি হতেই পারে। কারণ, বার্সেলোনা দেরিতে ফর্মে ফিরেছে। সমর্থকরাও হয়তো তাদের কথায় একমত ছিলেন। কিন্তু ওই যে ফুটবল অনিশ্চয়তার খেলা। আবার অতি আত্মবিশ্বাসও একটা কারণ হতে পারে। সে যাই হোক, বাস্তবতা হলো, ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে টানা তিন ম্যাচ হেরে এখন নতুন করে আলোচনায় দলটি।
শুরুটা হয় ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে পরাজয় দিয়ে। সেই ম্যাচে পুরো ক্যাম্প ন্যু প্রায় দখল করে নিয়েছিল জার্মান ক্লাবটির সমর্থকরা। এরপর লা লিগায় পুঁচকে কাদিজের কাছে হার ১-০ গোলে হার। আর রবিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে রায়ো ভায়েকানোর কাছে একই ব্যবধানে পরাজয়। নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম এক মৌসুমে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচে পরাজয়ের লজ্জাবরণ করলো বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে পয়েন্ট তালিকার ১৪ নম্বরে ছিল ভায়েকানো। এর আগে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠেও একই ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়েছিল তারা। এবার ক্যাম্প ন্যুতেও জয়ী দল দ্বিতীয় স্তর থেকে উঠে আসা ক্লাবটি। নিজেদের ইতিহাসে আর কখনোই বার্সাকে এক মৌসুমে দুইবার হারাতে পারেনি ভায়েকানো। এই পরাজয়ের ফলে এখন শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সেলোনার পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ালো ১৫। ৩৩ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৮ এবং বার্সার ৬৩। অর্থাৎ রিয়ালের লিগ শিরোপা জিততে এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।